লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ছোটদের খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর রাখা উচিৎ। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যাভ্যাস শিশুর স্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। সার্কুলেইশন: কার্ডিওভাস্কুলার কোয়ালিটি অ্যান্ড আউটকাম জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা জানায়, শৈশবের অস্বাস্থ্যকর অভ্যেসের কারণে জন্মগতভাবে পাওয়া শিশুর সুস্থ হৃদপিন্ডের অবনতি হতে পারে।
গবেষণায় দেখা যায় কম বয়সে অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে পরবর্তীকালে হৃদপিন্ডে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই গবেষণার প্রধান লেখক শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ডোনাল্ড এম. এললয়েড-জোনস বলেন, “আমাদের সন্তানদের মধ্যে যত বেশি স্বাস্থ্যকর অভ্যেস গড়ে তুলতে পারবো, বড় হয়ে ততই তাদের হৃদপিন্ডসংক্রান্ত স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, আর যাঁরা মধ্যবয়সেও ভালো হৃদপিন্ডের অধিকারী হন, তারা দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচেন। গবেষণায় দেখে গেছে, সাধারণত সব শিশুই সুস্থ হৃদপিন্ড ও স্বাভাবিক রক্তচাপ নিয়ে জন্মায়।
লয়েড-জোনস বলেন, “তবে শিশুদের যদি বাজে খাদ্যাভ্যাস থাকে তবে তাদের ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স’ (বিএমআই) এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা খারাপের দিকে নিয়ে যায়। ২০০৩-১০ সালের মধ্যে ন্যাশনাল হেল্থ অ্যান্ড নউট্রিশন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করা দুই থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুর বিএমআই, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কোলেস্টেরলের পরিমাণ ও রক্তচাপ নিয়ে পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
প্রায় ৮,৯৬১ জন শিশুর নমুনা নিয়ে গবেষণা করা হয়। যাঁরা দেশব্যাপী চার কোটি ৩৬ লক্ষ শিশুর প্রতিনিধিত্ব করে। দেখা গেছে সব শিশুর মধ্যেই উপর্যুক্ত সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্তত একটি সমস্যা রয়েছে। তবে একসঙ্গে চারটি সমস্যা কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি। লয়েড-জোনস বলেন, আরও নিখুঁত গবেষণার জন্য আমাদের আরও বেশি তথ্য প্রয়োজন। তবে যেটা দেখতে পাচ্ছি তা হচ্ছে, অল্প বয়স থেকেই ভয়াবহভাবে আমরা হৃদপিন্ডসংক্রান্ত স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছি, যা আমাদের অসুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পাওয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।