অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সতর্ক থাকুন, যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে, কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায়, এবং কেউ আর যাতে কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বুধবার কালে তার কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ, আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোন ধ্বংসাত্মক কার্জ করে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।’
‘কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি।’
পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা রকম চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আন্তজাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানব সৃষ্ট দুর্যোগ- যেমন অগ্নি সন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য যেখানে পুলিশ সদস্যদেরকে নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি।’
‘কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ঐ অগ্নি সন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা একটা দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই আইন শৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এ জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা সরকার বৃদ্ধি করেছে।’
‘কারণ, একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা, তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও বৃদ্ধি করে দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান।
কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার কথাও শোনেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় বাংলাদেশ পুলিশের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।