সরকারের পতন ছাড়া বিএনপির প্রতিবাদ মিছিল থামবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তি দাবিতে এই বিক্ষোভটি হয়। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোঁরা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।
রুহুল কবির রিজভী দলের ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ক্ষমতাসীন ভোট চোর সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ মিছিল থামানো যাবেনা। আমাদের প্রতিবাদী মিছিলে তরুণ যুবকদেরকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের রাজস্ব সিংহাসন ধুলায় মিশিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমাদের মিছিল থামবেনা।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, নিজেরা রাজাকারের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা করছেন আর দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মানসিক বিকৃতির বহিঃপ্রকাশ। দেশের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এ ধরনের নির্জলা কুৎসা রটানোর মতো জঘন্য কাজ কেউ করতে পারে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ মার্চে যখন রাস্তায় রাস্তায় সারাদেশে জনগণ ব্যারিকেড দিচ্ছে চট্টগ্রামেও দেশবাসী ব্যারিকেড সৃষ্টি করলে জিয়াউর রহমান নাকি গুলি করেছিল। তাহলে তিনি কত বড় পারভারটেড (ইতিহাস বিকৃতিকারী)। আসলে চারিদিকে ধিক্কার উঠেছে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পিতা যার যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার পিতা তো নিজেই পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য স্যুটকেস গোছাচ্ছিলেন। আসলে প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে যুবদল নেতা রফিকুল আলম মজনুকে গ্রেফতার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার দিবাস্বপ্ন পূরণ হবে না। এ সময় তিনি যুবদল নেতা জাকির হোসেন সিদ্দিকী ও শরীফ সহ সবার নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সেক্রেটারি গোলাম মাওলা শাহিন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মো. আবুল হাসান, মেহবুব মাসুম শান্ত, তোফাজ্জল হোসেন কাজল, ফারুক পাটোয়ারী সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।