লাইফস্টাইল

‘সুখের দিন’

Published

on

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
হ্যাপিনেস’ বা সুখ আসলে কী? সহজ করে বললে, মনের আনন্দ৷ আনন্দ মানুষ সাধারণত কী কী ভাবে প্রকাশ করে? হেসে-নেচে-গেয়ে৷ আজ জাতিসংঘেরও আহ্বান, আনন্দে থাকুন, গান শুনুন এবং আপনার সবচেয়ে প্রিয় সুখের গান সম্পর্কে জানান৷

‘সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছে করে, আমার জানতে ইচ্ছে করে’ – রুনা লায়লার এ গান শোনেননি বাংলাদেশে এমন সংগীতপ্রিয় মানুষ খুব কম আছে৷ সুখ কী তা বলে বোঝানো আসলেই কঠিন৷ আজ বিশ্বের সব মানুষের কাছে এই প্রশ্নটিই রেখেছে জাতিসংঘ৷ আজ যে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ হ্যাপিনেস’, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সুখের দিন!

২০১২ সালে ২০শে মার্চকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ হ্যাপিনেস’ হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ৷ বছরের একটি দিনকে হঠাৎ বা বিনা কারণে সুখের দিনের মর্যাদা দেওয়া হয়নি৷ ভুটান এ আবেদন জানিয়েছিল৷ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে টাকা-কড়ি-ধন-দৌলতের চেয়ে মনের সুখই যে বড় তা রাষ্ট্রীয়ভাবেও বোঝানো হয়৷ তাই সেখানে মোট অভ্যন্তরীণ বা দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) নির্ধারণ না করে প্রতিবছর ‘মোট জাতীয় সুখ’ নির্ধারণ করা হয়৷ সে কারণে হিমালয়ের কাছের এই দেশটি জাতিসংঘের কাছে এই ২০শে মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক সুখের দিন’ ঘোষণা করার আহ্বান জানায়৷ ২০১২ সালে তা মেনে নিয়ে এই দিনটিতে বিশ্বের সবাইকে বিশেষ বিশেষভাবে সুখ বা আনন্দ প্রকাশের আহ্বান জানাতে শুরু করে জাতিসংঘ৷ তা করতে গিয়ে কোথাও কোথাও নিপীড়নের শিকারও হয়েছেন সাধারণ মানুষ৷

গত বছর ফারেলি উইলিয়ামসের ‘হ্যাপি’ গানটির সঙ্গে নাচার আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছেয়ে গিয়েছিল ‘হ্যাপি’-র তালে তালে নাচ-গানের ভিডিও৷ এমন ভিডিও প্রচার করায় ইরানের কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীকে শাস্তিও পেতে হয়েছে৷

এ বছর নিজের পছন্দের ‘সুখের গানটি’ হ্যাশট্যাগ ‘হ্যাপিসাউন্ডসলাইক’ বা ঐধঢ়ঢ়ুঝড়ঁহফংখরশব লিখে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ বিশ্বের সব মানুষের প্রতিই এ আহ্বান, অর্থাৎ যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানুষ নিজের পছন্দের গানটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করতে পারেন৷ সারা বিশ্বে যে গানগুলো পোস্ট করা হবে সেখান থেকে বেছে নিয়ে একটা প্লে-লিস্ট বা সংকলন করা হবে৷ গান বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকবেন, ব্রিটেনের অ্যাড শিরান এবং জেমস ব্লান্ট, যুক্তরাষ্ট্রের জন লিজেন্ড, ফ্রান্সের ডিজে ডেভিড গুয়েত্তা পর্তুগালের পপস্টার দাভিদ কারেইরা৷

প্রিয় খুশির গানের কথা জানানো শুরুও হয়ে গেছে৷ স্বয়ং বান কি-মুনও জানিয়েছেন তার প্রিয় গানের কথা৷ জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রিয় গান সত্তরের দশকে স্টিভ ওয়ান্ডারের গাওয়া ‘সাইনড, সিলড, ডেলিভার্ড’৷ এক ভিডিওতে ঘটা করেই তা জানিয়েছেন বান কি-মুন৷ পাশাপাশি ‘আন্তর্জাতিক খুশির দিন’-এ সবাইকে খুশিতে থাকার এবং সবাইকে খুশি রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷-এএফপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version