দেশজুড়ে

সৈয়দপুরে মাটি ছাড়াই চারা উৎপাদন

Published

on

নীলফামারী সংবাদদাতাঃ কোকো ডাস্ট এবং প্লাস্টিক ট্রে ব্যবহারের মাধ্যমে মাটি ছাড়াই উন্নত সবজির চারা উৎপাদন করছেন সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া গ্রামের ওসমান গনী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবজি জোন হিসেবে পরিচিত বোতলাগাড়ী এলাকা। ওসমান গণি পেশায় একজন কৃষক। সুস্থ সবল চারা উৎপাদনে তিনি নতুন এ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। আগে তিনি মাটিতে চারা উৎপাদন করার ফলে আবহাওয়ার কারণে চারা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতো। ২০১৭ সালে সেলফ-হেলপ এন্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর স্বরণাপন্ন হলে শার্পের কেজিএফ কর্মসূচীর আওতায় কৃষি সেবা কেন্দ্র ও সবুজ নার্সারী বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় ১০ শতক জমিতে সবজি নার্সারী গড়ে তোলেন। আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ১০ শতক জমির উপর গ্রীন হাউসের আদলে তৈরী করেছেন নেট হাউস। তিনি কোকো ডাস্ট ব্যবহার করে কেঁচো সারের সমন্বয়ে মাটি ছাড়াই সবজি চারা উৎপাদন করছেন প্লাস্টিক ট্রে তে। এটা উন্নত প্রযুক্তি। এতে চারা পুরো শিকড় পেচিয়ে নেয় এতে শিকড়ের কোন ক্ষতি হয়না। এই চারা জমিতে লাগানোর পর পরই খাদ্য গ্রহণ শুরু করে। তার এই আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরী নেট হাউসের চারপাশে নেট দিয়ে রাখতে দেখা গেছে। যেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ নিশ্চিত হয় এবং ক্ষতি কারক পোকামাকড় একেবারেই প্রবেশ করতে পারেনা। এছাড়া পলিথিন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে হাউসের চাল। যে কারণে তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকছে। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টি থেকেও চারাগুলো নিরাপদ থাকছে।

ওসমান গনী বলেন, অল্প খরচে বিভিন্ন সবজি চারা উৎপাদন করা যায় এ প্রযুক্তিতে। বেগুন, মরিচ, টমেটো, কফি, চাল কুমড়া, লাউ, করলা, পেঁপে, ঢেঁড়স, খিরা ইত্যাদি সবজি। ফুলের মধ্যে রয়েছে- গোলাপ, গাধাঁ, অর্কিড, অ্যান্ধরিয়াম, চন্দ্র মল্লিকা।
এ বিষয়ে কথা হয় শার্প এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (কৃষি) মো: করিম উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, মাটি বিহীন চারা উৎপাদনে কৃষক লাভবান হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজার সংযোগের সমন্বিত সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের ফসল বিক্রি করা হয়। এজন্য ওই এলাকাতেই শার্পের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে সেবা কেন্দ্র। এখানে বাজারজাত করার জন্য কৃষক ও পাইকাররা তাদের উন্নত সবজি ও চারা ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন।

সেলফ-হেলপ এন্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর নির্বাহী প্রধান মো: মাহবুব-উল-আলম বলেন, এ অ লের কৃষকরা কোকো ডাস্ট ব্যবহার করে প্লাস্টিক ট্রে তে উৎপাদিত সবজির চারার নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। উন্নত প্রযুক্তিতে উৎপাদিত এসব সবজির চারা খুবই মানসম্মত। পোকা মাকড় বা কীটনাশক মুক্ত। এতে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version