ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এখনো সোলেদার শহর নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তবে ওখানকার পরিস্থিতি অন্তত ভয়াবহ। শনিবার ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে বক্তৃতায় দোনেৎস্ক অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান পাভলো কিরিলেঙ্কো এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শত্রুরা ভারি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, ওয়াগনারদের (রুশ যোদ্ধা) মধ্যে যারা নিহত হচ্ছেন তাদের লাশ ঢেকে রেখেছে তারা।
পাভলো কিরিলেঙ্কো আরও বলেন, পরিস্থিতি কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রিত। সামরিক কমান্ড পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার সাতজন বেসামরিক নাগরিককে শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু ৫৫০ জন শহরে আছেন, তারা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সেখানে কয়েকটি ভবন অক্ষত রয়েছে।
কিরিলেঙ্কো জোর দিয়ে বলেন, শহরের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ এবং আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়েছে।
যদিও এলাকার কিছু ইউক্রেনীয় ইউনিট বলেছে, শুধুমাত্র শহরের উপকণ্ঠ তাদের দখলে রয়েছে।
এর আগেশুক্রবার রাশিয়া বলেছে, তার বাহিনী কয়েক সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর পূর্ব ইউক্রেনের ছোট শহর সোলেদার দখল করেছে, যা কয়েক মাসের মধ্যে মস্কোর প্রথম উল্লেখযোগ্য বিজয় হবে, যদিও ইউক্রেন দাবি অস্বীকার করেছে।
রাশিয়ান মিডিয়া শুক্রবার বলেছে, সোলেদারের কয়েক ডজন বাসিন্দা রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের অংশে চলে গেছে।
গত গ্রীষ্মে দীর্ঘ সামরিক বিপর্যয়ের পর পুতিনের জন্য বিশেষভাবে কৌশলগত জয় না হলে সোলেদারকে ধরা একটি প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব করবে। তবে এটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেয় না বা যুদ্ধের সামগ্রিক রঙে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের পরামর্শ দেয় না।