সৌদি আরবে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীতে এবার নারীদের নিয়োগ দেবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম শুরু করেছে । এসব নারী সৈন্যের রিয়াদ, জিজান, মক্কা, উত্তর সীমান্ত, তাবুক, সার্কিয়াহ, আছির, নাজরান, মদিনা ও আল জোউফ সীমান্তে নিয়োগ দেয়া হবে।
১০ জুনের (রোববার) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে রাখা হয়েছে। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত হাইস্কুল পাস। আগামী শনিবার পর্যন্ত এ আবেদন গ্রহণ করা হবে। খবর মিডল ইস্ট মনিটর, গাল্ফ ইনসাইডার।
তবে দেশটির আলোচিত ‘অভিভাবক আইন’ অনুযায়ী নারীদের সীমান্তরক্ষী পদে আবেদনের জন্য পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতিপত্র লাগবে কিনা তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি। এর আগে চলতি মাসেই নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয় দেশটির সরকার।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সামাজিক সংস্কারের অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৈনিক হিসেবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে নারীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে।
এসব নারী সৈন্যের রিয়াদ, জিজান, মক্কা, উত্তর সীমান্ত, তাবুক, সার্কিয়াহ, আছির, নাজরান, মদিনা ও আল জোউফ সীমান্তে নিয়োগ দেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের অবশ্যই সৌদি নাগরিক হতে হবে, কর্মদক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে, পাবলিক বা সামরিক কোনো সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা, কোনো অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত না থাকা এবং সর্বশেষ কোনো সৌদি নাগরিক ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে না করলে যে কেউ আবেদন করতে পারবে।
নারী মুফতি নিয়োগের সুপারিশ : সৌদি আলেমরা দেশটির আলেম পরিষদে নারী মুফতি নিয়োগের সুপারিশ করে বলেছেন, নারীদের কোনো ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে তারা সঠিক ভূমিকা রাখতে পারবেন। নারীদের ক্ষেত্রে ইসলামী আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইনগত দিক থেকে এ ধরনের মুফতি নারীরা দিকনির্দেশনা দিলে তা বিতর্কের সৃষ্টি করবে না।
এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সৌদি ধর্মীয় নেতা শেখ আল-মুতলাখ বলেন, গ্রান্ড মুফতিকে বলেছি, আমাদের মেয়েদের মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত তাদের মুফতি হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে। ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ও উমম আল-কুরা ইউনিভার্সিটিতে যেসব মেয়ে মুফতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদেরও নিয়োগ দেয়ার কথা বলেন শেখ আল-মুতলাখ।