স্বাস্থ্যসেবার মান ও সহজপ্রাপ্যতার (এইচএকিউ) সূচকে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩তম। ভারতের ১৪৫তম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট এক গবেষণায় এ তথ্য দিয়েছে।
তবে ২০১৫ সালের গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের গবেষণায় বলা হয়, ১৯৯০ থেকে স্বাস্থ্যসেবার মান ও সহজপ্রাপ্যতার উন্নতি ঘটেছে ভারতে। ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসেবার মানের সূচকে ভারত অর্জন করে ৪১.২। ১৯৯০ সালে তা ছিল ২৪.৭। বুধবার পিটিআই এ খবর দিয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, এইচএকিউ সূচকের দ্রুত উন্নতি ঘটেছে ২০০০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিু পয়েন্ট অর্জনকারী দেশের মধ্যে ফারাক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০ সালে এ পার্থক্য ছিল ২৩.৪ পয়েন্ট। ২০১৬ সালে এ ব্যবধান দাঁড়ায় ৩০.৮ পয়েন্টে।
১৯৫টি দেশের মধ্যে সূচকের হিসাবে চীনের অবস্থান ৪৮তম। শ্রীলংকা রয়েছে ৭১তম অবস্থানে। বাংলাদেশ ১৩৩তম ও ভুটান ১৩৪তম। তবে নেপাল (১৪৯তম), পাকিস্তান (১৫৪তম) ও আফগানিস্তানের (১৯১তম) চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত। বিশ্বে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা ও গুণগত মানে শীর্ষে ছিল আইসল্যান্ড (৯৭.১ পয়েন্ট), নরওয়ে (৯৬.৬ পয়েন্ট), নেদারল্যান্ডস (৯৬.১ পয়েন্ট), লুক্সেমবার্গ (৯৬ পয়েন্ট), ফিনল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া (প্রত্যেকেই ৯৫.৯ পয়েন্ট করে)। তালিকায় নিচের দিকে ছিল মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (১৮.৬ পয়েন্ট), সোমালিয়া (১৯.০ পয়েন্ট), গিনিবিসাউ (২৩.৪ পয়েন্ট), শাদ (২৫.৪ পয়েন্ট) ও আফগানিস্তান (২৫.৯ পয়েন্ট)।
গবেষণা অনুযায়ী, ভারত যেসব রোগ মোকাবিলায় দুর্বল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তা হল টিবি বা যক্ষ্মা, রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ, ইসাইমিক হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, মূত্রাশয়ের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কিডনি সংক্রান্ত জটিল রোগ ও অন্যান্য। গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমগ্র সেবাখাত ও জনগণের জন্য গুণগত স্বাস্থ্যসেবার মান ও সহজপ্রাপ্যতা জরুরি ভিত্তিতে উন্নতি করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।