আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিভাগ ও মহানগরে সকাল ১০ থেকে ২টা পর্যন্ত চারঘণ্টা গণ-অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগরীর কর্মসূচি নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই ঘোষণা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রিয় ঢাকাবাসী যারা সকল বাধা উপেক্ষা করে গণমিছিলে উপস্থিত হয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল রাজবন্দী ও নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। ইতিপূর্বে আমরা ১০ টি বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করেছি। আজকের গণমিছিলও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের পক্ষে দশ দফা ঘোষণা করেছি। তারই প্রথম কর্মসুচি হলো গণমিছিল। আজকে এসব দফার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জোট সমর্থন জানিয়েছে। আমাদের দশ দফার মূল হলো- অবিলম্বে গায়ের জোরের সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে বিএনপির গণসমাবেশ থেকে জনগণ অংশ নিয়ে আওয়াজ তুলেছে অবিলম্বে এই সরকাররে পদত্যাগ করতে হবে। তাদেরকে আর জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায়না। তাকা স্বৈরাচার ও বিশ্বে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। এজন্য তারা গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশালী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তারা দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করে। তাদের সাথে জনগণ নেই।
তিনি বলেন, আজকে সরকারি দলের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে ব্যাংকগুলো শুন্য করে ফেলেছে। অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায় চলে গেছে। দেশে বিচারবিভাগ দলীয় করণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। তাদের দ্বারা অর্থনীতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এরশাদ পারেনি। আইয়ুব খান পারেনি। এই আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। আমি বলবো- এসে দেখে যান বিএনপির সাথে জনগণ আছে কি নেই? আজকে পাড়া মহল্লায় পাহাড় দিয়েও জনগণকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি।
আমরা আমাদের দফা আদায়ে আরো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবো। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করবো। এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।