১৮৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে একটি নৌকা রোববার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের তীরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তারা। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্ধারের সর্বশেষ ঘটনা।
আচেহ বেসার দুর্যোগ সংস্থার প্রধান রিদওয়ান জামিল রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা নিয়ে আচেহ প্রদেশের বেসারে পৌঁছেছে, তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। রিদওয়ানের শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা গেছে শরণার্থীরা দল বেঁধে বসে আছে এবং বালির ওপর শুয়ে আছে।
এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আন্তারা জানিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে আচেহ শহরের জেলেরা রোন্ডো দ্বীপের কাছে জলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে তিনটি নৌকা দেখেছেন। তবে যে নৌকাটি অবতরণ করেছিল সেটি তাদের মধ্যে একটি কিনা তা স্পষ্ট নয়।
গত কয়েক মাসে শত শত রোহিঙ্গা আচেহ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রায় ২৫০ জন রোহিঙ্গাসহ কমপক্ষে তিনটি নৌকাও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্মম নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তবে প্রতি বছর হাজার হাজার রোহিঙ্গা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই অঞ্চলের অন্যান্য মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ভ্রমণের জন্য বিপদজনক যাত্রা করে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বলেছে, ২০২২ বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় এক দশকের মধ্যে সমুদ্রে সবচেয়ে মারাত্মক বছর হতে পারে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, আনুমানিক ১ হাজার ৯২০ জন রোহিঙ্গা এই বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে সমুদ্রপথে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ছেড়েছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া নৌকাগুলোর জন্য একটি সাধারণ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে এবং পাচারকারীরা সেখানে শরণার্থীদের একটি ভাল জীবন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
সূত্র: রয়টার্স