*স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তি হারানো
করোনা ভাইরাসের নতুন উপসর্গ এটি। এই উপসর্গ নিয়ে একাধিক করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশেষ করে আমেরিকায় এই উপসর্গ অধিকাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু হয়েছে আমেরিকাতেই। মৃত্যু হারে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে আমেরিকা।
*হজম শক্তি কমে যাওয়া
করোনায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হল হজম শক্তি কমে যাওয়া। যার কারণে ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে আক্রান্তদের শরীরে। ফলে শরীরে জল কমে যাচ্ছে। চীনের উহান প্রদেশের করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই উপসর্গ বেশি দেখা গিয়েছিল। বিভিন্ন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের যে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে ডায়রিয়া প্রায় সব দেশেই করোনা রোগীদের দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
*চোখ গোলাপি হয়ে যাওয়া
করোনা সংক্রমণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হল চোখ গোলাপি হয়ে যাওয়া। তবে এই উপসর্গ খুব কম রোগীর শরীরেই দেখা দিয়েছে। ১ থেকে ৩ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর চোখ গোলাপি হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তার সঙ্গে চোখ ফুলে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটছে।
*মাথা ব্যথা ও অস্বস্তি
করোনা আক্রান্ত রোগীদের আবার সাধারণ সর্দি কাশির মত মাথা ধরাও দেখা দিচ্ছে। কাজেই অনেক সময় পার্থক্য করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সর্দিকাশি জ্বরের সঙ্গে যদি অন্য কোনও একটি উপসর্গও দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করান এবং চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন। এই মাথা ব্যথা বা মাথা ধরার সঙ্গে শরীরে একটা অদ্ভুত অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের।
চীনের উহানে করোনাভাইরাসের প্রথম উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৫০ হাজার ৪৩০ জন। মারা গেছেন ৪৮ হাজার ২৭৬। এবং সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ৬২৭ জন।